জাতীয়
কামরাঙ্গীরচরে ২৪ হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ২৪
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার রসুলপুর, আশরাফাবাদ, লোহারব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৪টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রেস্টুরেন্টের মালিক ও ম্যানেজারসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়।
লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা পিপিএম বলেন, অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দাহ্য পদার্থ ব্যবহারে মানুষকে সচেতন করা।
কোথাও অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখামাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনেককে সতর্ক করাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁর যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু টেকসই, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো যথাযথভাবে চেক করা হচ্ছে। তবে, গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহারে সকলেই বেশ উদাসীন।
বড় ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
জাতীয়
পাবনাতেই হবে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : প্রধানমন্ত্রী
পাবনাতেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (১১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক/বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫৪ গবেষকের হাতে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক দেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, ১৯ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদান এবং ২৫ জনকে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। শিক্ষা-গবেষণাসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যা যা প্রয়োজন, সবই করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭৫ সালের পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি।
জাতীয়
রমজানে বন্ধ থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়
আসন্ন রমজান মাস জুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রমজানে স্কুল খোলা রাখার যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল তাও স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতির কে এম কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এসময় স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেনো বাতিল করা হবে না জানতে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। এছাড়াও ২ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে স্কুল খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে গণশিক্ষা অধিদপ্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ দিন খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন দেয়। একইদিন মাউশি প্রজ্ঞাপন দেয় ১৫ দিন স্কুল খোলা রাখার।
জাতীয়
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অবদানের জন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মো: মানসুরুল হকের বিশেষ সম্মাননা অর্জন
ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ দেশের দুর্যোগে মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণায় অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মো: মানসুরুল হক।
‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, ২০২৪’ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কতৃক আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে উক্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়। জাতিসংঘের ডি আর আর ফেলো- মো: মানসুরুল হক মডেলিং, নাট্যাভিনয় সহ উপস্থাপনার মাধ্যমে মিডিয়া জগতে পরিচিত হলেও মূলত তিনি দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলায় প্রচারিত ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও উপস্থাপনার মাধ্যমেই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।
এছাড়া মানসুরুল হকের পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় চ্যানেল আই- তে ‘দুর্যোগ কথা’ -ও আরটিভিতে ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে নিয়মিতভাবে। সরকারি চাকুরিজীবী হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে কর্মরত মানসুর সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, তার পিতা মোঃ জহিরুল হক ছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী মোঃ মানসুরুল হক কর্মজীবনে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব ও মানবিক কার্যক্রমের জন্যও তিনি সুপরিচিত। একজন উপদেষ্টা হিসেবে ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সাথে সম্পৃক্ত মানসুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। দেশের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যাওয়া তার অন্যতম স্বপ্ন ও লক্ষ্য।